
এক.
করোনাবেলা
বিষণ্ণতার সারাবেলা উড়বে যেদিন ফানুস হয়ে..
ঘুরতে যাবো তোমায় নিয়ে সূর্য যেথায় রক্ত রাগে
বুকের ভেতর বিপন্নতা যেদিন যাবে লাগাম ছিঁড়ে
বুনবো আবার রঙিন সুতো পঙ্খীরাজের নতুন পালে
পাথর সময় গলবে যেদিন উষ্ণ আলোর হৃদয় ছুঁয়ে
নামবে যেদিন ঝুম-বৃষ্টি বাজবে আবার ঘুঙুর পায়ে
সুরের ভেলায় ভাসবো সেদিন সূর্যোদয়ের রঙিন ভোরে
উঠবে যেদিন রঙধনু রঙ ঝড়ের শেষে শেষ বিকেলে
মাখবো সে রঙ তোমায় নিয়ে তেপান্তরের সবুজ নীলে
ভিজব আবার ঝরনা ধারায় তোমার আমার ওষ্ঠ ছুঁয়ে
ভীষণ ভালো বাসবো তখন দেয়া-নেয়ার হিসেব ভুলে।।
দুই.
ভুল
একদিন সত্যি সত্যি ভুলে যাব
ভুলে যাব ব্রহ্মপুত্রের স্নিগ্ধতা
মায়াময় জলের স্রোত!
পাথর ছড়ানো বাঁকা রোদ,
তালগাছ-
আলো ছায়া শীতল বাতাস!
ওপাড়ে নীলখেয়া চর-
কাশফুল!
পালতোলা সপ্তডিঙা
গোধূলি সন্ধ্যায় খেয়া পারাপার
ভুলে যাব সূর্যোদয় স্নান-
দিগন্তে জেগে ওঠা
কুসুম রঙা ভোর-
জলের ওপাড়ে সূর্যের ঘুম!
ভুলে যাব ক্লান্ত দুপুর
পালতোলা অলস সময়-
মেঠোপথ- আলপথে হেঁটে যাওয়া-
বৈশাখী এলোমেলো দিন!
ভুলে যাব হঠাৎ বৃষ্টি
কাকভেজা একান্ত গোপন!
সত্যি সত্যি একদিন ভুলে যাব-
সেদিনের একশো আটটি
সবুজ দূর্বা, পাথরের ফুল!
হয়ত ভুলবোনা কোনদিন
অনেক যত্নে বোনা
জীবনের শত ভুল!!
তিন.
কান্না
১
এত কান্না বুকে ধরিস
আঁচল ভরা ফুলে
ভালোবেসেও নিঃস্ব ভাবিস
চোখ যে আঁকা নীলে
২
ও মেয়ে তুই জন্ম নিলি
জন্ম ভিটেয় মাটি পেলি?
ভালোবাসার ঘর যে হলো
সে ঘরও কি তোমার বলো?
৩
জন্ম নিলি মায়ের কোলে
পরিচয় তোর বাবার মেয়ে
নয়টি মাস আর প্রসব ব্যথা
জীবন ঝুঁকি সাবধানতা-
নাইবা মানুক সমাজ তথা
জগত জানে মায়ের কথা।।
৪
ডালা ভরা ফুলের মালা
তাদের জন্যই গাঁথা
যারা তোমায় দুঃখ দেবে
কথায় কাজে বাধা।