
দুর্বল নেতৃত্বের কারণে কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভা নির্বাচনে হেরে গেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হায়দার আলী মিঞা। এ কথা এখন পৌরবাসীর মুখে মুখে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতৃত্বের অভাব, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই বিএনপি প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এ পৌরসভাটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে গেল।
গত ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উলিপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুন সরকার মিঠু নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রথমবার মনোনয়ন পাওয়া তরুণ এ মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হায়দার আলী মিঞা ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪১৩ ভোট। এ ছাড়াও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাতপাখা প্রতীকে আতাউর রহমান পেয়ছেন ৩ হাজার ৫২৮ ভোট।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উলিপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করেন। মোট ১৮টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে শতকরা ৬৯ দশমিক ৯১ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে ২৭.৩৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে উলিপুর পৌরসভা গঠিত হয়। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯১৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৯ হাজার ৩৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ৫৩৯ জন।