
এন এম সরকার- ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। ঢাক-ঢোল-কাঁসর, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ।
শাস্ত্রমতে, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবীর বন্দনা করা হয়। ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতী দেবীর আরাধনা করেন। সরস্বতী দেবী শ্বেত শুভ্রবসনা।
দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা। এজন্য তাকে বীণাপানিও বলা হয়। সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী তার আশীর্বাদের মাধ্যমে মানুষের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করতে প্রতি বছর আবির্ভূত হন ভক্তদের মাঝে। শিক্ষার্থীরাই এই পূজায় মনোযোগী হয়।
করোনা কালীন সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও এবার স্বাস্থ্য বিধিমেনে মন্দিরে এবং ঘরে ঘরে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়।
দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি, নানা উপাচারে সোমবার ১৬’ফেব্রুয়ারি প্রতি বছরের ন্যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে সনাতন ধর্ম কল্যাণ সংঘের আয়োজনে পীযুষ রায়, পলাশ সাহা, সৈকত রায়, শ্রাবন রায়, শুভ রায়, সুশান্তিকা , প্রতিমা সাহা , প্রাঞ্জল কুমার রায় সাফল্য, প্রত্যয় মন্ডল সহ গ্রাম বাসির আর্থিক সহযোগিতায় দুর্গাপুর রাইগ্রাম দুর্গামন্দিরে সরস্বতী পূজা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রশাদ বিতরণ করা হয়।