
ডেস্ক ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ২০ শতক জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় উভয় পক্ষ আদালতে করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামাসহ দুটি পৃথক মামলায় আসামী করা হয়েছে ৬৬ জনকে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের নন্দগাঁও মুন্সিপাড়া গ্রামে জমি দখল করতে গিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ বাধে এবং ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ৩৮ শতক জমির মধ্যে ২০ শতক জমির নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমিরুল ইসলাম ও মোস্তফার দ্বন্দ চলে আসছে। স্থানীয় ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় ঘটনা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
এ ঘটনায় মোস্তফা বাদী হয়ে ১৪ জন আসামীর নাম উল্লেখের পাশাপাশি ৩৫/৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে অপর পক্ষ আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালতে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আদালত উভপক্ষের মামলাগুলো তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় হরিপুর থানা পুলিশকে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) মামলার আসামী উপজেলার কাশুয়াপাড়া গ্রামের জাক্কার ছেলে টুটুল (৩০) আগাম জামিন নিতে গেলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক আলাউদ্দীন। বাদীপক্ষের আইনজীবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ২৮ এপ্রিল মামলার শুনানি রয়েছে বলেও জানান তিনি। মোস্তফার করা মামলায় ২নং আসামী বেদারুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে জানান, জমির প্রকৃত মালিক আমরা। স্থানীয় ভাবে মীমাংসায় আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে স্থানীয়রা। তবে মোস্তফার লোকজন গায়ের জোরে জমি দখল নিতে চায়। এ নিয়ে তারাই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে মামলা দিয়েছে।
মামলার আরেক আসামী মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমি পেশায় একজন সাংবাদিক। ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌর নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে ঠাকুরগাঁওয়ে ছিলাম। আমি ঘটনার সম্পর্কে জানিনা। অথচ আমাকেও আসামী করা হয়েছে। আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের আশ্বাস দিয়েছে হরিপুর থানা পুলিশ।